রহমত নিউজ ডেস্ক 30 October, 2022 06:47 PM
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন প্রধান আমীরে শরীয়ত আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেছেন, ৯২ শতাংশ মুসলমানদের বাংলাদেশে ইসলামী শিক্ষা সাংস্কৃতি বিনষ্ট করতে ভিনদেশী আগ্রাসন চলছে। জাতির মেরুদন্ড শিক্ষা ব্যবস্থায় এ দেশের মানুষের ঈমান-আক্বিদা, কৃষ্টি-কালচার, ইতিহাস-ঐতিহ্য ও ধর্মীয় চেতনা জড়িত। জাতীয় শিক্ষা কমিশনের কতিপয় নাস্তিক্যবাদী দালালচক্র শিক্ষা-সাংস্কৃতিতে অপসাংস্কৃতি ঢুকিয়ে সুকৌশলে মুসলিম শিক্ষার্থীদেরকে নাস্তিক বানানোর পায়তারা করা হচ্ছে। ইসলামবিদ্বেষী কোন কারিকুলাম এদেশে চলতে দেয়া হবেনা। দেশের তাওহিদী জনতা জীবন দিয়ে হলেও তা রুখে দিবে। অবিলম্বে বোর্ড পরীক্ষায় ইসলামি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
আজ (৩০ অক্টোবর) রবিবার রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর মাদরাসায় বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী সুলতান মহিউদ্দিন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা সানাউল্লাহ হাফেজ্জী, প্রচার সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী ও মাওলানা সাইফুল ইসলাম জামালী প্রমূখ।
আল্লামা আতাউল্লাহ আরও বলেন, সরকার অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত এক ও অভিন্ন একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর নামে পাঠ্য পুস্তকে হিন্দুয়ানী সাংস্কৃতি সংযোজন ঘটিয়ে ইসলামী শিক্ষাকে ধ্বংসের নীল নকশা তৈরি করেছে। তারই অংশ হিসেবে সরকার এসএসসির বোর্ড পরীক্ষা থেকে ইসলামী শিক্ষা বাদ দিয়ে এ দেশের মুসলমানদের অন্তরে মারাত্মক ভাবে আঘাত দিয়েছে।
তিনি বলেন স্বাধীনভাবে শিক্ষা সংস্কৃতি ও ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার জন্যই এই ভূখন্ডটি স্বাধীন হয়েছিল। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও আমরা পরাধীন। এদেশের ৯০ ভাগ মুসলমানের জন্য এটা অত্যন্ত হতাশাজনক। অথচ বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগেই ওয়াদা করে ছিল ক্ষমতায় আসলে ইসলাম বিরোধী কোন আইন করবেনা। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর একের পর এক ইসলাম ও আলেম ওলামাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। অবিলম্বে পাঠ্য পুস্তক থেকে ইসলামবিদ্বেষী লেখা বাদ দিয়ে স্কুল,কলেজ ও মাদরাসা শিক্ষার সর্বস্তরে ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান তিনি।